চাঁচল

তন্ত্রের দোহায় দিয়ে দোষী সাব্যস্ত! অভিমানে আত্মঘাতী পৌঢ

 

গ্রামে কারোর কিছু হলেই দোষ দেওয়া হতো তাকে। শুধু তাই নয় সর্বদা তাকেই সন্দেহের বশে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তিও দেওয়া হতো বছর ষাটের ওই পৌঢকে। আর এই অপমানে মানসিক ভাবে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ওই পৌঢের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে জোর চাঞ্চল্য ছড়াল চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবানপুর গ্রামের বর্মনপাড়া এলাকায়।

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবানপুরের বর্মনপাড়া গ্রামে কোন মানুষের কিছু হলেই দায়ী করা হতো তাকে। গ্রামবাসীর সন্দেহ ছিল তিনি তন্ত্র সাধনা করেন। আর সেই সন্দেহের বসেই একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছে তাকে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে সালিশি সভা করে মল-মূত্র খাইয়ে মারধরও করা হয়। তারপরেই বাড়ির পেছনে গাছ থেকে বৃহস্পতিবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই পৌঢর। মৃত ওই পৌঢর নাম জয়দেব বর্মণ (৬০)। তবে বর্তমান যুগে এই ধরণের মধ্যযুগীয় কু-সংস্কারের বশবর্তী হয়ে কিভাবে সাধারণ মানুষ এমন অত্যাচার করতে পারে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেই সঙ্গে প্রশ্নের মুখে রয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা।

    এই ঘটনায় পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাদের দাবি কু-সংস্কারের বলি হলেন পরিবারের সদস্য। তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে বলেও জানিয়েছেন।